
জাহিন সিংহ, সাভার থেকে : মৌসুমী আক্তার (৩০)। মালয়েশিয়া প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে তাকে দেখা গেছে একনিষ্ট কর্মির ভূমিকায়।কাকডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোট চেয়ে চষে বেড়িয়েছেন গোটা এলাকা।
পরিচ্ছন্ন, সৎ, মেধাবী আর সাহসী নেত্রী হিসেবে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে সবার কাছে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন প্রিয় মৌসুমী আপা। সেই মৌসুমী এবার সাভারে রাজনীতির মাঠে চমক সৃষ্টি করলেন।
আওয়ামী লীগ থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ফরম কিনেছেন এই নেত্রী।
মৌসুমী স্বামীর কর্মস্থলের সুবাদে দীর্ঘ ৮ বছর ছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেখানেই তিনি সংগঠিত করেন আওয়ামী লীগের নারী কর্মীদের।
প্রবাসে বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অর্জন ও সম্ভাবনা।নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
মৌসুমীকে সাভারে অনেকে চেনেন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে। সাভার নিউ মার্কেট ও সিটি সেন্টারে রয়েছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসা ছেড়ে আপনি কেন সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে এমপি হবার জন্যে ফরম কিনেছেন?
‘এটা আমার স্বপ্ন। আমি সাভারে ঢাকা-১৯ আসনে জননেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী,পরিচ্ছন্ন রাজনীতির এক কিংবদন্তি নেতা অধ্যাপক ডা.এনামুর রহমানের পক্ষে নিবেদিত প্রাণ কর্মি হিসেবে কাজ করেছি। ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের নৌকার পক্ষে সু-সংগঠিত করেছি।তাদের প্রত্যাশা- আমি যাতে মহান জাতীয় সংসদে গিয়ে অসহায়,নিপীড়িত আর বঞ্চিত নারীদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। বলতে পারেন নারীদের এমন আকাঙ্খা থেকেই আমি প্রার্থী হয়েছি’- বলছিলেন মৌসুমি আক্তার।
বাবা মজিবর রহমান।এক বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় মৌসুমী। স্বামী আমিনুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় নির্মানযজ্ঞের বড় ব্যবসায়ি। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সীল কনসাল্ট এসডিএন,বিএইচডি’র পরিচালক।
ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বড় হয়েছেন মৌসুমী।
‘আমি যখন বড় হলাম,বুঝতে শিখলাম,তখন থেকেই দেখি আমার বাসায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ছবি।আমার বাবার নাম মজিবর রহমান।প্রিয় বাবার নামের সাথে জাতির জনকের নামটি মিলে যাওয়াটা ছিলো আমার কাছে ভিন্ন ধরনের এক আবেগ আর অনুভূতি – জানান মৌসুমী আক্তার।
গত ১৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি অফিস থেকে দলের নেতাকর্মি ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মনোনয়ন ফরম কেনেন মৌসুমী।
তিনি জানান, মাননীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা.এনামুর রহমানের নেতৃত্বে সুশাসন আর উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সাভার।
এখন দিন বদলেছে। জননেত্রী রাজনীতির দুয়ার খুলে দিয়েছন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ পরিচ্ছন্ন নেতাদের। তাই এখন সময় আমাদের নেতৃত্ব দেবার। আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে দলের সকল নেতাকর্মিদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তুলতে আমার সাথে দলের শ্রদ্ধাভাজন নেতা ও কর্মিরা যেভাবে কাজ করেছেন,আমাকে সহযোগীতা করেছেন তা সত্যিই ছিলো প্রশংসার। বলতে পারেন সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হবার বিষয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে সর্বস্তরের নেতাকর্মিদের এই ভালোবাসা।
‘আমি রাজনীতি করতে চাই গরীব ও মেহনতি মানুষদের জন্যে। নেতাকর্মীদের দোয়া ও ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে চাই বহুদূর’- উচ্ছসিত কণ্ঠে এমনটিই জানালেন সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী মৌসুমী আক্তার।