
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে বিহারের রাজধানী পাটনাসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাজ্যে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ২৪ জেলায় আরও বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে।
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভারী বৃষ্টিতে গত এক সপ্তাহে ভারতের উত্তরপ্রদেশ ও বিহার রাজ্যে ১১০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমসহ দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলো একটি ছবি। ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালে রোগীর বেডের নিচেই হাঁটু সমান পানি।
জানা গেছে, পাটনার দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল নালন্দা মেডিকেল কলেজের দৃশ্য এটি। একশ একরের বেশি জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই হাসপাতালটি পানিতে অনেকটা নিমজ্জিত হয়ে আছে। হাঁটু সমান পানিতে ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে।
বৃষ্টিপাতে পরিমাণ বেশি হলেই হাসপাতালের বেড ভেসে যায় বলে দেশটির গণমাধ্যমে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত বছরও হাসপাতালটি বন্যার কবলে পড়ে প্রায় ডুবে গিয়েছিল। সে সময় হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) পানিতে ভেসে যায়।
এমনকি ওয়ার্ডের ভেতরে কোমর সমান পানিতে মাছও ঢুকে পড়ে। বেডে আশ্রয় নেয়া রোগীর স্বজনরা সেই মাছের সাঁতার কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
ভারতে এবারের বন্যার ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে দেশটির পাটনায়।
ইতিমধ্যে সেখানে সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলার বহু এলাকা বুকসমান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
উদ্ধারকারী নৌকা দিয়ে পানিবন্দি লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে পৌরসভার ক্রেনও ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানিবিহীন অবস্থায় অনেক লোক তাদের বাড়িঘরে আটকা পড়ে আছে।
রোববার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, মনে হচ্ছে আবহাওয়া বিভাগও খেই হারিয়ে ফেলেছে। একেক সময় একেক পূর্বাভাস দিচ্ছে।
রাজ্যটির বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিহারের প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে টানা প্রবল বর্ষণে দেখা দেয়া বন্যা ও অন্যান্য ঘটনায় গত কয়েক দিনে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।