
ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ক্রমপ্রসারমান ডিজিটাল জগতকে মানুষ ও সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে প্রয়োজন নিরাপদ, সহজলভ্য, বাকস্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও টেকসই ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের দিনব্যাপী ১৩তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রসারিত ডিজিটাল সামাজের জন্য ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ নয়, ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে। এজন্য ডিজিটাল বৈষম্য ঘুচিয়ে গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র ও ডিজিটাল সমাজকে বাঁচাতে হলে ডিজিটাল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যমত থাকতে হবে। যারা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারা জাতীয় শত্রু।’
এছাড়া বিগ ডাটা না জানলে আমাদের নগর পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে না। তাই এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য সূচিতে বিগ ডাটা বিষয়টি অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব দেন তথ্যমন্ত্রী। যেহেতু ইন্টারনেট সমগ্র বিশ্বকে সমতল করে দিচ্ছে সে জন্য এ বিষয়ে গবেষণায় জোরদার করতে হবে বলে মনে করে হাসানুল হক ইনু।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মানব সমাজের উপকারেই ইন্টারনেট ব্যবহার হবে। ক্ষতির জন্য নয়। তাই আগামী দিনের ডিজিটাল সমাজ ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ‘ইন্টারনেট প্রশাসন’ এখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। প্রাপ্যতা, সহজলভ্যতা, টেকসই, প্রবেশগম্যতা ও অন্তর্ভূক্তির নীতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্যই প্রয়োজন ইন্টারনেট প্রশাসনের।’
এ সময় মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতাবান্ধব ডিজিটাল সমাজ গড়ে তুলতে ইন্টারনেটের প্রশাসনকে সার্বজনীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব বয়স, লিঙ্গ ও শ্রেণি -পেশার মানুষের কাছে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়ার বা এর সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার কাজে রাষ্ট্রের আরও মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মাতৃভাষায় ইন্টারনেট চর্চার আইনগত বাধ্যবাধকতা দরকার। তাহলেই বাংলা বিষয়বস্তুর উন্নয়ন হবে।’
এছাড়া সম্মেলনের আরও বক্তব্য দেন— বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম এইচ চৌধুরী ও ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডোম প্রমুখ।